৫ টাকার পেয়ারা
আপলোড সময় :
২২-১১-২০২৩ ১১:৫৩:০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২২-১১-২০২৩ ১১:৫৩:০০ পূর্বাহ্ন
নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: এ যেন রীতিমতো কাড়াকাড়ি আর হুড়োহুড়ি। কার আগে কে নিতে পারে। দোকানীও থেমে নেই। তিনি পেয়ারা কেটেই যাচ্ছেন। এমনই দৃশ্য দেখা গেল নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার গাঙ্গোর বাজারে।
পেয়ারা বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম জানালেন, তার দোকানের পাশেই একটি হাই স্কুল ও একটা প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। স্কুলের বিরতিতে ও স্কুল ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা তার কাছে পেয়ারা কিনতে আসে। কোন শিক্ষার্থী ১০ টাকার পেয়ারা নেয়। কোন শিক্ষার্থী পাঁচ টাকার নিতে চায় । তাদের কথা চিন্তা করে আমি তাদের ৫ টাকারই পেয়ারা দিই। তিনি জানালেন, বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে করে পাঁচ টাকার পেয়ারা মাখা দেওয়া সম্ভব না।
পাঁচ টাকার সমপরিমাণ পেয়ার দিলে শিক্ষার্থীদের 'মন' ভরে না। তখন পরিমাণে বেশি দিতে হয়।তারপরও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে গত দুই মাস ধরে 'লস' করেই তিনি ৫ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেন। তিনি আরো বললেন, শুধু পেয়ারা কেটে দিলে হয় না। এর সাথে লবণ, মসলা ও কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়ে দিতে হয়। তিনি বললেন, যখন পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ছিল তখনো শিক্ষার্থীদের কাছে পাঁচ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছি। আমার দেখাদেখি পাশের দোকানিও পাঁচ টাকার পেয়ারা বিক্রি শুরু করেছে। গাঙ্গোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিগন্ত, হৃদয় জানালো,
এখানে আসলে পাঁচ টাকায় পেয়ারা পাওয়া যায়। তাই মাঝেমধ্যে কিনে খাই। খুব মজা লাগে। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনালী শিং জানালো, আমার মা আমাকে পাঁচ টাকা দেয়। তাই দিয়ে আমি পেয়ারা কিনে খাই। গাঙ্গোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার জানালেন, আমরা ক্লাসেও শিক্ষার্থীদের ফল খাওয়ার কথা বলি। তাই তারা ভাজাপোড়া না খেয়ে পেয়ারা খায়।
এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ৫ টাকায় যে পেয়ারা দিচ্ছেন এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi
কমেন্ট বক্স